ডেইলি চিরন্তন:বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও অন্য যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন সচেতন নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্কার্ট পরতে বেশি পছন্দ করেন। তবে শুধু অনুষ্ঠান নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অফিস যেতেও আজকাল এই পোশাকটাকে বেছে নেন তরুণীরা। নজরকাড়া ডিজাইন আর পরতে আরামদায়ক হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছেই। ফ্যাশনেবল এই পোশাক শুধু স্বস্তিই দেয় না, একইসঙ্গে বাহ্যিক লুকেও ভিন্নতা আনে। তাই বলিউড কিংবা হলিউড তারকাদের পাশাপাশি যে কোন দেশের ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে স্কার্ট এখন ভীষণ প্রিয়।
স্কার্ট হচ্ছে টিউব অথবা কোণ শেপের কাপড় যা কোমর থেকে পা পর্যন্ত জড়িয়ে রাখে। তবে ফ্যাশনভেদে স্কার্ট লম্বা বা ছোট দু ধরনেরই হতে পারে। তবে বেশিরভাগ তরুণীই লং স্কার্টকে বেশি প্রাধান্য দেন।
স্কার্টের ধরন
ফুল স্কার্ট
আমাদের দেশে ফুল স্কার্টের চাহিদাই বেশি। আঁটসাঁট নয়, বরং ঢোলা স্কার্টের চলন বেশি দেখা যায়। নানা রঙে রঙিন স্কার্টের সঙ্গে পরতে পারেন মানানসই টপস বা শর্ট শার্ট।
ফরমাল স্কার্ট
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ফরমাল স্কার্টের প্রচলন থাকলেও আমাদের দেশে এর প্রচলন কমই। এক রঙের (কালো/ সাদা/ বাদামি) কুচি ছাড়া স্কার্টই ফরমাল স্কার্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে প্রিন্টের কোনো স্কার্ট, ফরমাল স্কার্ট হিসেবে ব্যবহার হয় না।
শর্ট স্কার্ট
লম্বায় এ স্কার্ট হাঁটু পর্যন্ত হয়ে থাকে, বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশে এটি একটি জনপ্রিয় পোশাক। কালারফুল এবং চকমকে শর্ট স্কার্টের চাহিদা অনেক বেশি। তবে এর সঙ্গে পরে নিতে পারেন মানানসই টপস।
তবে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাধারণত মেয়েরা ফুল/লং অথবা বেল-শেপ স্কার্টই বেশি পরে থাকে। আর ঘরোয়া পরিবেশে পরা হয় সার্কেল স্কার্ট। তবে হোবল স্কার্ট যেহেতু ফ্যাশনেবল তাই এর চাহিদাও তরুণীদের কাছে বাড়ছে। আরেক ধরনের স্কার্ট এখনকার কর্পোরেট অফিসে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তা হল ট্রাউজার স্কার্ট। দেখতে অনেকটা ছেলেদের ট্রাউজারের মতই এবং এতে বেল্ট লুপ ও পকেটও থাকে।
বাজারে এখন ভিন্ন ভিন্ন কাপড়ের ও বিভিন্ন রঙের স্টাইলিশ স্কার্ট পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে পছন্দমতো স্কার্ট তৈরি করে নিতেও পারেন।
কাপড় ও রঙ বাছাই
বর্তমানে স্কার্ট মানে সুতি, তাঁত, লিনেন, প্রিন্টেড কাপড় আর অনেক ঘের। লং স্কার্টের মধ্যে স্ট্রেইট কাট যেমন চলছে তেমনি বেশি ঘেরওয়ালা স্কার্ট ও এখন স্টাইল। স্কার্ট মানেই উজ্জ্বল রঙ। তবে হালকা রঙের ব্লক করা বা একরঙা স্কার্টও তৈরি হচ্ছে। কাপড় হিসেবে সুতি আর লিনেন ব্যবহার হয়। প্রিন্টেড স্কার্টগুলোতে উজ্জ্বল রঙ বেশি ব্যবহার করা হয়। এসব স্কার্ট ছাড়াও টাইডাইয়ের গাঢ় রঙের স্কার্ট, মোম বাটিক, ভেজিটেবল ডাই আর সুতি, তাঁত কাপড়ে করা হচ্ছে ব্লক লেইস, অ্যাপলিক, সুতার নকশা, পুঁতির কাজ, সিকুইনের কাজ বেশি।
কিছু কিছু ফ্যাশন হাউস আবার একরঙা আর প্রিন্টেড কাপড় জোড়া দিয়ে তৈরি করছে বাহারি লং স্কার্ট। স্কার্টের সঙ্গে মূলত টপস কিংবা শার্টই নারীদের প্রথম পছন্দ। স্কার্ট-টপসের সঙ্গে চাইলে নিতে পারেন স্কার্ফ।
কখন কোনটা পরবেন
কাজের জন্য বা অফিসের জন্য বের হলে পরতে পারেন পেন্সিল স্কার্ট, যা আপনাকে সফেস্টিকেটেড কিন্তু গ্ল্যামারাস একটি লুক এনে দেবে। যখন আপনি একটু আরামদায়ক স্কার্ট চান তখন পরতে পারেন ম্যাক্সি স্কার্ট, দেখতেও গর্জিয়াস এবং বিভিন্ন প্রিন্টের মধ্যে পাবেন। আর যদি পার্টিতে ওয়াও শুনতে চান তাহলে আপনি পরতে পারেন মিনি অথবা শর্ট স্কার্ট, সঙ্গে পরে নেবেন হাইহিলের জুতো।
কোথায় পাবেন এবং দামদর
বড় বড় বিদেশি ব্রান্ডের দোকান ছাড়াও দেশি ফ্যাশন হাউজ গুলোতে মিলবে নানা রকম স্কার্ট। আমাদের দেশিয় কাপড় ও নকশার স্কার্ট আপনার বিদেশি সাজেও যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। এছাড়াও পাবেন বসুন্ধরা সিটি থেকে শুরু করে হকারস মার্কেট পর্যন্ত সব জায়গায়। দাম পড়বে ৫০০ থেকে শুরু করে ৫০০০ পর্যন্ত।
Leave a Reply